পৃষ্ঠাসমূহ

সোমবার, ১৩ আগস্ট, ২০১২

জিপিএ এর ভিত্তিতে মেডিকেলে ভর্তি :: কিন্তু মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় কি ব্যাপারগুলো ভেবে দেখেছেন??

মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার ঠিক দু’মাস আগে চট করে আজকে মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন পরীক্ষা বাতিল, ভর্তি নেয়া হবে জিপিএর ভিত্তিতে। এর কারন হিসেবে পত্রিকায় যেটা এসেছে তা হল
> কোচিং-বাণিজ্য বন্ধ করতে।
>প্রতিবছর ভর্তির জন্য ৫০-৬০ হাজার ছাত্রছাত্রীর পরীক্ষা নেওয়ার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসা দরকার।
>গত বছর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ছাপাখানা থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের চেষ্টা, পরীক্ষার আগে ভুয়া প্রশ্নপত্র বেচাকেনাসহ নানা ধরনের সমস্যা ।
সূত্র: ১. প্রথম আলো ২.bdnews24.com


এ বিষয়ে যে ব্যাপারগুলো ভাবা উচিত তার একটা লিস্ট দিচ্ছি, জানি না সেটা স্বাস্থ্যঅধিদপ্তরের চোখে পড়বে কিনা

১.
ধরা যাক, এবছর সেটা বাস্তবায়ন হল, তাহলে ব্যাপার কি দাঁড়াবে। এতদিন ধরে হাজার হাজার স্টুডেন্ট মেডিকেলের জন্য যারা প্রিপারেশন নিচ্ছিল তাদের মধ্যে এসএসসি এবং এইচএসসি তে গোল্ডেন এ+ ছাড়া বাকী সবাই আক্ষরিক অর্থেই পানিতে পড়বে। কারন মেডিকেলে সবমিলিয়ে আসন প্রায় তিনহাজারের কিছু বেশি। আর আমাদের গত কয়েক বছরের জিপিএ ৫ এর সংখ্যাটা এক ঝলক দেখুন-

এসএসসিঃ
২০১০ সালে জিপিএ ৫ পেয়েছে = ৬২ হাজার ১৩৪ জন।
২০১১ সালে জিপিএ ৫ পেয়েছে = ৭৬ হাজার ৭৪৯ জন
২০১২ সালে জিপিএ ৫ পেয়েছে = ৮২ হাজার ২১২ জন।

এইচএসসিঃ
২০১০ সালে জিপিএ ৫ পেয়েছে = ২৮ হাজার ৬৭১ জন।
২০১১ সালে জিপিএ ৫ পেয়েছে = ৩৯ হাজার ৭৬৯ জন
২০১২ সালে জিপিএ ৫ পেয়েছে = ৬১ হাজার ১৬২ জন


তারমানে জিপিএ ৫ এর নীচে যারা তারা তো হিসাবের বাইরেই, এমনকি যে ছেলেমেয়েগুলো দুবারই গোল্ডেন এ+ পায় নি, তাদের সবারই এতদিনকার স্বপ্ন এবং পরিশ্রম ব্যর্থ হয়ে গেল। এবং যারা মেডিকেলে চান্স পেত নিজ পাঠ্যপুস্তকে দখল এবং মারাত্মক পরিশ্রমের মাধ্যমে তাদের অধিকাংশই কোন জায়গাতেই চান্স পাবে না। কারন মেডিকেলের ভর্তির প্রিপারেশন ভাল মত যারা নেয় তারা অন্য কোন পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে প্যাটার্ন ভিন্ন হওয়ার কারনে চান্স পাবে না। এই বিশাল পরিমান ছাত্রছাত্রীদের পরিশ্রমের মূল্য কী রইলো? মাঝামাঝি সময়ে এসে তাদের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সিদ্ধান্তকে মূল্যহীন করে দেয়া কতটুকু যৌক্তিক?

২.

কোচিং বাণিজ্য বন্ধই যদি এ সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হয় তাহলে ব্যাপারটা কেমন সিদ্ধান্ত হয় সেটা ভাববার বিষয়। কোচিং বাণিজ্য বলতে হয়তো দুটো ব্যাপারকে বোঝানো হচ্ছে, এক কোচিং এ পাঠ্য বইগুলো পড়ানোর বিনিময়ে মোটা টাকা নেয়। আর দ্বিতীয় হচ্ছে কোন কোন কোচিং এর নামে অভিযোগ আছে তারা প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় জড়িত।
এখন প্রথমটাতে যদি নীতিনির্ধারকদের আপত্তি থাকে, অর্থাৎ কোচিং বেশি বেশি টাকা নিচ্ছে তাহলে সমস্ত কোচিং গুলোর জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করে কিংবা কোচিংগুলোর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা যেতে পারে।
কিন্তু এটা বন্ধ করতে পরীক্ষা বাতিল করাটা হল ঠিক মাথা ব্যথার জন্য মাথা কাটার মত। কোচিং তোমার থেকে টাকা নিচ্ছে, ওকে তোমার পরীক্ষা দেয়া বন্ধ, মেডিকেলে পড়ার আশা কোর না, তাহলে কোচিংগুলোও তোমাকে ঠকাতে পারবে না। প্রবলেম সলভড!:|
আর এবছর কোচিং গুলো যা টাকা নেবার তা নিয়ে নিয়েছে, সুতারাং এ বছর যারা কোচিংয়ের পিছনে তাদের টাকা ব্যয় করে ফেলেছে তাদের সুবিধাটা কি হবে? এখানে অনেকেই আছে নিম্নবিত্ত ঘরের সন্তান, টিভিতে দেখলাম একজন পিতা তার সন্তানকে মেডিকেল কোচিং এ ভর্তি করিয়েছেন তার গরু বেচে। এই ছেলেগুলোর মত স্টুডেন্টরা অন্যবিষয়ে প্রিপারেশন নেয়ার জন্য অর্থনৈতিক সহায়তা কীভাবে পাবে, তাদের এতদিনকার অর্থনৈতিক ক্ষতি আর শ্রমের মূল্য কে দেবে?
দ্বিতীয়ত, প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা কোচিংয়ের মাধ্যমে ঘটতে পারে, তাই পরীক্ষা বাতিল। প্রশ্নফাঁস হবার মত ঘটনা এক ধরনের প্রশাসনিক দুর্বলতা, প্রশ্ন কোচিং সেন্টার তৈরি করে না। তারমানে সেটা যখন ফাঁস হয় সেটা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিজস্ব সিস্টেমের ব্যর্থতা। সেটার দায়ভার এড়াতে যদি পরীক্ষা বাতিল করা হয় তাহলে ব্যাপারটা আর কোচিংকেন্দ্রিক থাকে না। ঘরে আসবাবপত্র চুরি হতে পারে সেইভয়ে বাড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত না করে আসবাবপত্র কিছু না কিনে খালি ঘরে বাস করার মত- ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
কেন এ দায়ভার ছাত্রছাত্রীরা বহন করবে?

৩.
জিপিএ আমাদের দেশে একটি মূল্যবান মাপকাঠি সন্দেহ নেই। কিন্তু সেটাই কী ১০০ ভাগ নির্ভেজাল?আমরা সাধারণ যে কেউ জানি সেটা নয়। কারন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে দারুন মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা ভাল জিপিএ পায় না, আবার ভাল ভাল স্কুল গুলোতে গড়পড়তা সবাই ভাল জিপিএ পেয়ে যায়। প্রত্যন্ত অঞ্চলের এসব মেধাবী ও পরিশ্রমী ছেলেমেয়ে গুলোর অনেকেই এতদিন পর্যন্ত মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়েছে। জিপিএর ভিত্তিতে ভর্তি চালু করলে এসব অদম্য মেধাবীদের কি দমিয়ে রাখা হবে না?

৪.
ইংলিশ মিডিয়ামের থেকে প্রতিবছর অনেক ছেলেমেয়ে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হচ্ছে, তাদের সিস্টেমের সাথে প্রচলিত আমাদের জিপিএর কোন মিলই নেই বলা চলে। তাদের ক্ষেত্রে তারমানে নতুন কোন ধরনের মাপকাঠি নির্ধারণ করা হবে। কিন্তু সেটা কতটুকু সার্থক পদ্ধতি হবে ? এ পদ্ধতি প্রণয়ন দীর্ঘদিনের অ্যানালাইসিস ছাড়া চট করে কীভাবে করা সম্ভব?

৫.

অনেকেই আছে যারা গত বছরে চান্স না পাওয়াতে এবার আবার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তারা তাদের শিক্ষাজীবনের দীর্ঘ একটা সময় একটা লক্ষ্যে পৌঁছবার জন্য পরিশ্রম করে যাচ্ছিল। চট করে এমন একটা সিদ্ধান্তে তাদের
এতদিনকার স্বপ্ন এবং শ্রম কীভাবে ভেঙে পড়বে চিন্তা করে দেখুন। আগে থেকে জানলে হয়তো তারা অন্যকোন বিষয়ে পড়বার জন্য সে শ্রমটা দিত। এ ধরনের ছাত্রছাত্রীদের সমস্ত শ্রম, স্বপ্ন এ সিদ্ধান্তে কি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে না?

৬.
মেডিকেল কোচিং বন্ধ হলেই কি কোচিং ব্যবসা আদৌ বন্ধ হচ্ছে। ভর্তি পরীক্ষার কোচিং বন্ধ হলে এইচএসসি, এসএসসি তে চলমান স্যারদের প্রাইভেট বাণিজ্য এবং কোচিংগুলো অনেক বেশি আগ্রাসী হয়ে পড়বে। স্যারদের হাতে প্রাকটিকালের নাম্বার থাকে, সে সব ক্ষেত্রে প্রাইভেট পড়ানো স্যারদের দৌড়াত্ম বাড়বে ভীষণরকম। কলেজে কলেজ সংঘর্ষ থাকে, নির্দিষ্ট কলেজের ছাত্ররা এমন সংঘর্ষযুক্ত কলেজের টিচারদের হাতে বলি হবে প্র্যাকটিকালের নাম্বারের কারনে। এখনকার মেডিকেল কোচিংগুলোই দেখা যাবে এসএসসি আর এইচএসসি কোচিং এ পরিণত হয়ে গেছে। যেই লাউ সেই কদুই হবে ঘুরে ফিরে, বরঞ্চ স্কুল কলেজে ছাত্র-ছাত্রীরা অনেক বেশি ভোগান্তির সম্মুখিন হবে। তাহলে কোচিং ব্যবসা বন্ধের ধুঁয়া তুলে কী লাভ হবে?

৭. আমরা কিছুদিন আগেও দেখেছি কলেজ ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সের মানদন্ড নামক ব্যাপার চালু হয়েছিল, যা এক বছর পরই হাস্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়। ক্ষতি যাদের হওয়ার হয়েই গেল। অনেক ভাল ভাল ছেলেমেয়ে ভাল কলেজে পড়ার চান্স পেল না। মেডিকেল ভর্তির নতুন পদ্ধতিও যে এরকম বর্জনীয় হবে না সেটার পর্যাপ্ত অ্যানালাইসিস না করে কীভাবে চট করে সেটা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কলেজ না হয় কারো ক্যারিয়ারকে পুরো ধ্বংস করতে পারে না। কিন্তু আন্ডারগ্রাজুয়েট পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের এভাবে গিনিপিগ বানানোর ক্ষেত্রে আরো সতর্কভাবে কি এগুনো উচিৎ নয়?

৮. প্রতি বছর ৫০-৬০ হাজার পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়ার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে ৬০-৭০ হাজার জিপিএ থেকে মেডিকেলের জন্য শিক্ষার্থী বাছাই করাটা কতটুকু সুবিধাজনক?


                                                                                                                    *  লিখেছেন মাসুদুল হক


আমরা কি একটা সুযোগও পেতে পারি না?

অভি (ছদ্মনাম) এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে মেডিকেল ভর্তি কোচিং করছে। স্বপ্ন একটি সরকারী মেডিকেলে চান্স পাবে। কোচিং এর শুরুর দিন থেকে দিন রাত পড়াশোনা। রুম থেকে যেন বেরই হয় না। কোচিং, খাওয়া আর পড়া। ওর বাবা দিন মজুর। তবুও অনেক কষ্টে টাকা জোগাড় করে ছেলেকে কোচিং করতে পাঠিয়েছে। অভিকে একদিন জিজ্ঞেস করলাম, তোমার পড়াশোনার কি খবর? বলল, ভাইয়া, আমার তো এসএসসি এবং এইচএসসি এর জিপিএ আট দশমিক পাঁচ। তাই খুব ভালো করে পড়ছি। যেন ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করতে পারি। বললাম, তুমি কি ভর্তি পরীক্ষায় এই গ্যাপ কভার করতে পারবে? বলল, এর আগে এমন অনেক নজির আছে যারা শুধু মাত্র ন্যুনতম আবেদন করার যোগ্যতা ছিল মাত্র, তারপরেও এই কয়টা দিনের পড়াশোনায় মেডিকেলে চান্স পেয়ে গেছে। আমি পাব না কেন? ওর আত্মবিশ্বাস দেখে আমিও আশায় বুক বাধলাম। ঠিকই তো ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করলে তো চান্স পাওয়া আসলেই সম্ভব।

মীম (ছদ্মনাম) গত বছর মেডিকেল কোচিং করেও চান্স পায় নি। তারপরও অবশ্য অন্য কোন জায়গায় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয় নি। কারণ, ওর জীবনের একটা মাত্র লক্ষ্য, ও ডাক্তার হবে। লক্ষে স্থির থাকতে ও এবার আবার কোচিং করছে। অবশ্য ওর এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার জিপিএ ভালো ছিল না। কিন্তু আত্মবিশ্বাস এটাই ও দুটি বছর অনেক পড়েছে। অনেক ভালো প্রস্তুতি ওর। বই এর কোথায় কি আছে ও বলে দিতে পারে। এখন শুধু ওই দিনটার জন্য অপেক্ষা যেদিন পরীক্ষার প্রশ্ন পেয়েই বলতে পারে, আমি পেরেছি। আমার সুযোগ আমি কাজে লাগাতে পেরেছি।

উপরের দুইটা ঘটনাই বর্তমান সময়ের খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। ভর্তি কোচিং করতে আসা হাজার শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন তাদের কষ্টটা যেন বৃথা না যায়। হয়ত ভাগ্য দোষে অথবা নিজেদের উদাসীনতায় যারা এসএসসি অথবা এইচএসসি পরক্ষায় ভালো করতে পারে নি, তাদের অনেকেরই ভর্তি পরিক্ষার আগে হুশ ফেরে। কঠোর পরিশ্রমে অনেকেই ছিনিয়ে আনে সাফল্যের মুকুটটি। মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষার বিগত বছর গুলোর ফলাফল বিশ্লেষণ করলে খুব ভালো করেই দেখা যায় যে যারা চান্স পেয়েছে তাদের যে সবারই এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ পাঁচ ছিল তা নয়। অধিকাংশই চান্স পায় যাদের জিপিএ কম ছিল অথচ ভালো করে পরবর্তিতে পড়াশোনা করেছে। শুধু মাত্র জিপিএ ভালো বলে অনেক ছেলে মেয়ে আছে এই গর্বেই পড়াশোনা করে না। তাই ভালো কোথাও চান্সও পায় না। ভর্তি পরীক্ষায় এই কথাটা খুব বেশি প্রচলিত যারা এইচএসসি এর পরের কয়টা মাস মন দিয়ে পড়বে, সময়টা কাজে লাগাবে তারা চান্স পাবে। হয় ও তাই। অনেক তথা কথিত ভালো ছাত্র বা ছাত্রি আছে যারা সময়তা কাজে না লাগানর কারনে ঝরে যায় অথবা আশানুরুপ জায়গায় চান্স পায় না। এরকম হাজার নজির আছে।

আমি বুঝলাম না। কি বুঝে কর্তৃপক্ষ এই আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত নিলেন? উপরে উল্লেখিত এই কমল মতি দুই জনছাত্র ছাত্রীর মত হাজার শিক্ষার্থী কি অপরাধ করেছিল? এত কষ্ট করে স্বপ্ন বাঁচাতে রাতের পর রাত ঘুম বাদ দিয়ে যারা আগের ভুল সংশোধন করে নতুন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সচেষ্ট, তাদের দশটা কোথায়? নাকি সরকার মনে করছে যে ভুল তো ভুলই। এটা সংশধন করা যায়?

ভর্তি পরীক্ষায় দুর্নীতি হয়। এটা ঠেকাতে তাই ভর্তি পরীক্ষাই নাকি নেওয়া যাবে না। মাথা ব্যাথার ওষুধ যে মাথাটাই কেটে ফেলা-এটা আসলে আমার জানা ছিল না।
প্রতি বছর এত শিক্ষার্থী জিপিএ পাঁচ পায় যে এখান থেকে কিভাবে যোগ্যরা চান্স পাবে? সবাই চান্স পাবেও না। তাহলে যোগ্যতার মাপকাঠিটা কি? ওদের থেকেই যদি সবাই চান্স না পায়, তার মানে কি বাকীরা অযোগ্য? আর যারা জিপিএ পাঁচ পায় নি, তারা তো হাত টা জোড় করে বলতেই পারে যোগ্যতা প্রমানের একটা সুযোগ আমরাও কি পেতে পারি না?